কবি নজরুলের বাতায়ন পাশে জেগেছিল “গুবাক-তরুর সারি”। আমার বাতায়ন পাশে গুবাক-তরুর সারি নেই। তবে একটি ক্যামেলিয়া ফুলের গাছ আছে। শীতের শুরু থেকে তাতে অনেক কুঁড়ি এসেছে। প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে দেখি সে ফুটেছে নাকি। ফুটি ফুটি করেও পুরো শীত পার হয়ে গেল। কিন্তু তাদের মুখ আর দেখতে পেলাম না। গত কয়েকদিন নানা ব্যস্ততায় ওদিকে নজর দিতে পারিনি। আজ সকালে অবাক হয়ে দেখি তার রূপের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে পুরো বাতায়ন এবং বারান্দা। আষাঢ়ের প্রথম কদম নয়, ফুটেছে আমাদের “শীতের প্রথম ক্যামেলিয়া ফুল”।
সত্যি সত্যি যেন মনে হল-
“আকাশতলে উঠল ফুটে
আলোর শতদল।
পাপড়িগুলি থরে থরে
ছড়ালো দিক্-দিগন্তরে,
ঢেকে গেলো অন্ধকারের
নিবিড় কালো জল।
মাঝখানেতে সোনার কোষে
আনন্দে, ভাই, আছি বসে –
আমায় ঘিরে ছড়ায় ধীরে
আলোর শতদল।”
- কবিগুরু রবি ঠাকুর
সত্যি সত্যি যেন মনে হল-
“আকাশতলে উঠল ফুটে
আলোর শতদল।
পাপড়িগুলি থরে থরে
ছড়ালো দিক্-দিগন্তরে,
ঢেকে গেলো অন্ধকারের
নিবিড় কালো জল।
মাঝখানেতে সোনার কোষে
আনন্দে, ভাই, আছি বসে –
আমায় ঘিরে ছড়ায় ধীরে
আলোর শতদল।”
- কবিগুরু রবি ঠাকুর
No comments:
Post a Comment