শরীর ও মন নিয়ে লেখালেখি

Wednesday, 27 April 2016

অস্ট্রেলিয়ার মাতাল টিয়ে পাখীরা


অস্ট্রেলিয়ানদের দুটি বিষয়ে খুবই সুনাম রয়েছে মদ খাওয়ার প্রতি অসম্ভব আসক্তি এবং  যেকোনো কিছু নিয়ে বাজি ধরা শোনা যায় ইংল্যান্ড থেকে প্রথম যে জাহাজ অস্ট্রেলিয়া এসেছিল তার যাত্রীরা সাগর পথে সারাক্ষণ বাজি এবং মদ নিয়েই মত্ত ছিল এখনও এর প্রভাব অস্ট্রেলিয়ার সর্বত্র দেখা যায় আর কোন দেশে ঘোড় দৌড় নিয়ে এখনও এত মাতামাতি হয় কিনা সন্দেহ এখন দেখা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার পাখীরাও মাতাল হয়ে যাচ্ছে এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে রেইন বো লরিকিট পাখী রেইন বো লরিকিট এক প্রজাতির খুবই রঙিন টিয়ে পাখী রেইন বো লরিকিট মাতাল হলে মানুষের মতই বেসামাল আচরণ করে, এমন কি গাছের ডাল থেকে ধপাস করে নীচে পড়েও যায়


লরিকিট টিয়ের মাতাল হওয়ার বিষয়টি অবশ্য নতুন কিছু নয় সাধারণত প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত মাতাল টিয়েদের দেখা মেলে রেইন বো লরিকিট ঝাঁক ধরে চলে মাতাল হলে রেইন বো লরিকিট খুব চিৎকার ডাকাডাকি করে এবং জানালার কাঁচে তার প্রতিবিম্ব দেখলে ঠোকরা-ঠুকরি করতে থাকে পাখীর চিকিৎসকরা বলছেন মাতাল রেইন বো লরিকিটের খুব মাথা ব্যাথা হয় এবং কয়েকদিন যাবত তাদের হ্যাং ওভার চলতে পারে
    
মাতাল টিয়ের চিকিৎসা কি করা হয়?

টিয়ের মাতলামির চিকিৎসা খুবই সহজ এসময় এদের সাধারনত মিষ্টি পরিজ এবং তাজা ফল খেতে দেওয়া হয়


তবে মানুষের মতই পাখীর মাতাল হওয়ার বিষয়টি সবসময় হেলাফেলার বিষয় নয় অনেক মাতাল টিয়ে পাখীর সুস্থ হতে কয়েক মাস সময় লাগে এমন কি এসময়ে অনেক পাখী অজ্ঞাত কারণে মরেও যায়।
এবছর এখন পর্যন্ত কয়েকশ মাতাল রেইন বো লরিকিট টিয়ের চিকিৎসা করা হয়েছে। কিন্তু কেন এরা এমন মাতাল হয়ে যায় তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। অনেকে বলেন গাঁজানো পাকা ফলের রস খাওয়ার কারণে এমন হয়; আবার কেউ বলেন এটা কোন ভাইরাসজনিত রোগ। পাখীর ডাক্তারগণ এটাকে  “drop lorry” বা “drunken lorikeet disease” বলে থাকেন। কারণ যাই হোক রেইন বো লরিকিটদের এই রোগ সহসা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।


তথ্যসূত্রঃ ন্যাশনাল জিওগ্রাফী 

No comments:

Post a Comment