এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ডায়াবেটিস-Halt the rise, beat diabetes। শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে সচেতন
থাকলেই ডায়াবেটিসকে পরাস্ত করা যায়।
·
৩৫০ মিলিয়ন
দুনিয়াজুড়ে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ এখন ডায়াবেটিস রোগে ভুগছে। আগামী ২০ বছরে
এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
·
১.৫ মিলিয়ন
২০১২ সালে সরাসরি ডায়াবেটিসের কারণে ১.৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছে। এদের ৮০% মৃত্যু ঘটেছে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
·
৯০%
মোট ডায়াবেটিস
রোগীদের ৯০%-এর বেশী টাইপ-২ ডায়াবেটিস
মেলিটাসে আক্রান্ত। ইদানীং শিশুদেরও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের
প্রকোপ বাড়ছে।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে ১০টি তথ্য
১) দুনিয়াজুড়ে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ এখন ডায়াবেটিস রোগে ভুগছে। আগামী ২০ বছরে
এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগ এভাবে দুনিয়া জুড়ে
ছড়িয়ে পড়ছে মূলত দুটি কারণেঃ শরীরের ওজন বাড়া বা মেদ-ভুঁড়ি হওয়া এবং শারীরিক
পরিশ্রম না করে অলস জীবন যাপন করা।
২) অনুমান করা হচ্ছে
২০৩০ সাল নাগাদ পৃথিবী জুড়ে মৃত্যুর ৭ নম্বর প্রধান কারণ হবে ডায়াবেটিস মেলিটাস।
আগামী ১০ বছরে ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুর হার ৫০% বাড়বে।
৩) ডায়াবেটিস মেলিটাস
মূলত দুই ধরণেরঃ টাইপ-১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের
রোগীদের শরীরে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয় না। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীদের শরীরে
ইনসুলিন তৈরি হলেও তা ঠিক মতো কাজ করতে পারে না।
৪) তৃতীয় আরেক ধরণের
ডায়াবেটিস গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational
diabetes) নামে পরিচিত। এর ফলে
গর্ভে সন্তান থাকাকালে মায়েদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। গর্ভকালীন
ডায়াবেটিসের কারণে মায়েদের গর্ভকালীন এবং প্রসবকালীন নানারকম জটিলতা হতে পারে।
পরবর্তীতে তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫) টাইপ-১ এর চেয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ অনেকগুণ
বেশী।পৃথিবীর মোট ডায়াবেটিস রোগীদের ৯০ শতাংশেরও বেশী টাইপ-২ ডায়াবেটিস
রোগে ভুগছে। আগে শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ খুবই কম ছিল। কিন্তু এখন
এর প্রকোপ বেড়েছে। ইদানীং শিশু-কিশোরদের মধ্যে নতুন শনাক্ত ডায়াবেটিসের অর্ধেকের
বেশীই টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
৬) অধিকাংশ দেশে অল্প বয়সে ক্রনিক রোগ এবং মৃত্যুর প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ রক্তনালী এবং হৃদরোগের কারণে মারা যায়।
৭) ২০১২ সালে সরাসরি ডায়াবেটিস রোগের কারণে ১.৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
৬) অধিকাংশ দেশে অল্প বয়সে ক্রনিক রোগ এবং মৃত্যুর প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ রক্তনালী এবং হৃদরোগের কারণে মারা যায়।
৭) ২০১২ সালে সরাসরি ডায়াবেটিস রোগের কারণে ১.৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
৮)
ডায়াবেটিস রোগের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার
৮০ শতাংশই ঘটে কম আয় এবং মধ্যম আয়ের দেশসমূহে।
উন্নত দেশের অধিকাংশ মানুষ চাকরী থেকে অবসর গ্রহণের পরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়।
কিন্তু উন্নয়নশীল দেশের মানুষ সাধারনত ৩৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের মধ্যেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়।
৯) অন্ধত্ব,
অ্যাম্পুটেশন (Amputation) এবং কিডনি
বিকলতার প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায়,
স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার না করতে পারার কারণে
ডায়াবেটিসের ফলে ব্যাপকহারে অন্ধত্ব, অ্যাম্পুটেশন এবং কিডনি বিকলতার সৃষ্টি
হচ্ছে।
১০) টাইপ-২
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা মাঝারি থেকে ভারি মাত্রার
শারীরিক ব্যায়াম করলে এবং খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস
প্রতিরোধ করা যায়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়; তবে চিকিৎসার সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
No comments:
Post a Comment