২০০৭ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে জনসম্পদের ওপর অত্যন্ত
নির্ভরযোগ্য একটি জরীপ করা হয়েছিল। এই
জরীপের ফলাফলে দেখা যায় আমাদের প্রতি ১০,০০০ মানুষের জন্য-
- ৫ জন চিকিৎসক
- ২ জন নার্স
- ১২ জন হাতুড়ে গ্রাম্য চিকিৎসক
- ১১ জন ফার্মেসীর ওষুধ বিক্রেতা
- ৩৩ জন কবিরাজ বা বৈদ্য
- ৩২ জন ঝাড়ফুঁক দেওয়ার লোক এবং
- ৬ জন হোমিওপ্যাথ ডাক্তার আছে।
এরা সবাই কম-বেশী বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা দেয় এবং ওষুধের পরামর্শ দেয়।
কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য জনশক্তির সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশের
তুলনায় অনেক কম। যেমনঃ আমাদের দেশে প্রতি ১০০০০ মানুষের জন্য চিকিৎসক, দাঁতের
ডাক্তার এবং নার্স আছে সাকুল্যে ৭.৭ জন। শ্রীলংকায় এই সংখ্যা ২১.৯ জন, ভারতে ১৪.৬
জন, পাকিস্তানে ১২.৫ জন। সহস্রাব্দের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মনে করে এই সংখ্যা প্রতি ১০০০০ জনগণের জন্য ২৩.০ জন হওয়া উচিত।
আমাদের সেবিকা এবং চিকিৎসকের অনুপাত ২:৫ । অর্থাৎ প্রতি ৫ জন চিকিৎসকের
জন্য ২ জন নার্স আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে প্রতি ৩ জন নার্সের জন্য
১ জন চিকিৎসক থাকা উচিত। যে কোন কমিউনিটির জন্য পর্যাপ্ত নার্স থাকা বিশেষ জরুরী।
কারণ হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবার প্রাণশক্তি নার্স। আমাদের মেডিক্যাল
টেকনোলজিস্টেরও স্বল্পতা রয়েছে। প্রতি ১ জন চিকিৎসকের জন্য ৫ জন মেডিক্যাল
টেকনোলজিস্ট থাকা উচিত। সার্বিকভাবে এই জরীপে দেখা যায় উন্নয়নশীল দেশের মানদণ্ডে
বিবেচনা করলে আমাদের আরও ৬০,০০০ চিকিৎসক, ২৮০,০০০ নার্স এবং ৪৮৩,০০০ মেডিক্যাল
টেকনোলজিস্ট দরকার।
তথ্যসূত্রঃ Ahmed
SM, Hossain MA, Rajachowdhury AM, Bhuiya AU. The health workforce crisis in
Bangladesh: shortage, inappropriate skill-mix and inequitable distribution.
Human resources for health. 2011;9:3.
No comments:
Post a Comment