শরীর ও মন নিয়ে লেখালেখি

Wednesday 7 October 2015

অতিরিক্ত হট ফ্ল্যাশ মেয়েদের হৃদরোগের পূর্বাভাস


 
মহিলাদের মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তিকালে এবং এরপরে নানারকম সমস্যা হয়ে থাকে। এরমধ্যে সবচেয়ে বিরক্তিকর উপসর্গ হল হট ফ্ল্যাশ বা তাপঝলক। এরফলে শরীরে হঠাৎ একটা গরম উত্তাপের ঢেউ খেলে যায়।  কান, মাথা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝাঁ ঝাঁ করে ওঠে, মুখমণ্ডল লাল হয়ে যায়, প্রচুর ঘাম ঝরতে থাকে আর সঙ্গে থাকে অস্থিরতা। অনেকের এত বুক ধড়ফড় করতে থাকে যে তাদের নিকট মনে হয় গুরুতর হৃদরোগ হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হৃদরোগের প্রমাণ পাওয়া যায় না। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যাদের অতিরিক্ত হট ফ্ল্যাশ বা তাপঝলক হয়, তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা আসলেই বেশী। কারণ তাদের রক্তনালীর মধ্যবর্তী এবং একদম ভিতরের স্তর অত্যন্ত পুরু থাকে। কিন্তু যাদের হট ফ্ল্যাশ বা তাপঝলক কম হয় কিংবা একেবারেই হয় না, তাদের রক্তনালীর গঠন স্বাভাবিক। এর অর্থ যাদের হট ফ্ল্যাশ বা তাপঝলক হচ্ছে তাদের হৃদরোগের ব্যাপারে অতিরিক্ত সচেতন থাকতে হবে। এ বছর আমেরিকার লাস ভেগাসে নর্থ আমেরিকান মেনোপজ সোসাইটির বার্ষিক সম্মেলনে এই গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এর আগে আসলে হট ফ্ল্যাশ বা তাপঝলকের সঙ্গে রক্তনালীর সমস্যার বিষয়টি কখনও পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। এজন্য এই ফলাফলকে অনেকে বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। এমনিতেই মেয়েরা তাদের সমস্যা গোপন করতে চায়। অধিকাংশ মহিলা হট ফ্ল্যাশ বা তাপঝলকের বিষয়টি চিকিৎসককে জানায়ও না কিংবা এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেয় না।  কিন্তু যাদের দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার কিংবা তার চেয়ে বেশী হট ফ্ল্যাশ বা তাপঝলক হবে, তাদের অবশ্যই কোলেস্টেরল বা উচ্চরক্তচাপের মতো এটাকেও হৃদরোগের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে গবেষকগণ মনে করছেন। অবশ্য এ সম্পর্কে এখনও আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তারা মনে করছেন।

তথ্যসূত্রঃ North American Menopause Society (NAMS) 2015 Annual Meeting: Abstract S-12. Presented October 2, 2015.

No comments:

Post a Comment