শরীর ও মন নিয়ে লেখালেখি

Sunday, 3 January 2016

২০১৫ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞান নতুন কি পেলো ?

২০১৫ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নান ধরণের পরিবর্তন এবং নতুন নতুন আবিস্কার সংযোজিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দশটিঃ

(১) SPRINT: উচ্চ রক্তচাপ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে আরও জীবন রক্ষা করা সম্ভব
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আরও কঠোর হলে হৃদরোগের প্রকোপ এবং আরও মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। ২০১৫ সালে এ সম্পর্কিত Systolic Blood Pressure Intervention Trial (SPRINT)-এর গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৪০ মিমি পারদচাপের নীচে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু Systolic Blood Pressure Intervention Trial (SPRINT)-এ অংশগ্রহণকারীদের সিস্টোলিক রক্তচাপ ১২০ মিমি পারদচাপের নীচে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স ৫০ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশী ছিল। পর্যবেক্ষণের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যাদের সিস্টোলিক রক্তচাপ সবসময় ১২০ মিমি পারদচাপের নীচে রাখা সম্ভব হয়েছে তাদের মধ্যে হৃদরোগের প্রকোপ ৩০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ কম হয়েছে। মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (National Institutes of Health) এই গবেষণার অর্থ যোগান দিয়েছে। গবেষণার ফলাফল আশাতিরিক্ত সফল হওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই এর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। গবেষকদল মনে করছেন ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের টার্গেট নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।

(২) ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমের নতুন নাম
কথায় বলে নামে কি আসে যায়? কিন্তু The Institute of Medicine (IOM) দীর্ঘ মেয়াদী অবসাদ বা ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমের বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত ইনিস্টিটিউট অব মেডিসিনের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে এটা আসলেই একটি “মারাত্মক জটিল বহু-আঙ্গিক ব্যাধি” এবং এই রোগ শনাক্ত এবং চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের আরও যত্নশীল হওয়া উচিত। রিপোর্টে এর নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে “systemic exertion intolerance disease”।
ইনিস্টিটিউট অব মেডিসিন মনে করছে এটা আসলে রোগীদের কল্পনাপ্রসূত কোন রোগ নয়। বাস্তবেই এটা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণ এবং উপসর্গ সৃষ্টি করে। এজন্য এর চিকিৎসার বিষয়ে আরও মনোযোগী হওয়া দরকার। অনেক দেশে এ রোগের নাম মায়ালজিক এনসেফালো মায়েলাইটিস (myalgic encephalomyelitis)।

(৩)আইসিডি-১০ প্রবর্তিত
চিকিৎসা বীমার জন্য বিভিন্ন রোগের নাম উল্লেখ করতে এতদিন  আই সি ডি-৯ ব্যবহার করা হতো। ২০১৫ সালে এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন প্রবর্তিত আইসিডি-১০ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এখানে প্রায় ৭০,০০০ রোগের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আইসিডি-৯-এর চেয়ে এ সংখ্যা ৫ গুণ বেশী। এজন্য অনেকের মনে আশংকা ছিল আদৌ আইসিডি-১০ ব্যবহার করা সম্ভব হবে কিনা। কিন্তু সকলের শঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে সাফল্যের সঙ্গে এটা ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসা বীমার দাবী এবং অর্থ উত্তোলন আরও সঠিক এবং সহজ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।বলাবাহুল্য আমাদের দেশে রোগ নির্ণয় এবং তার কোডিংয়ের জন্য এখনও আইসিডি কোড ব্যবহারের কোন প্রচলন নেই। অদূর ভবিষ্যতে তা হবে কিনা, সে বিষয়ে কোন দিক নির্দেশনাও দেখা যাচ্ছে না।

(৪)EMPA-REG OUTCOME- এক যুগান্তরকারী গবেষণা
(Empagliflozin)Cardiovascular Outcome Event Trial in Type 2 Diabetes Mellitus Patients২০১৫ সালে সবচেয়ে সাড়া জাগানো গবেষণা (Empagliflozin) Cardiovascular Outcome Event Trial in Type 2 Diabetes Mellitus Patients-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।এই গবেষণায় যে সব  টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস রোগীদের নিশ্চিত হৃদরোগ রয়েছে তাদের চিকিৎসায় রক্তে গ্লুকোজ কমানোর নতুন ওষুধ এম্পাগ্লিফ্লোজিন(empagliflozin) [Jardiance, Boehringer Ingelheim/Lilly]ব্যবহার করা হয়েছে। এম্পাগ্লিফ্লোজিন সোডিয়াম গ্লুকোজ কো-ট্রান্সপোর্টার-২(SGLT-2)নামে পরিচিত এক ধরণের রিসেপ্টর বা গ্রাহক অণুর ওপরে কাজ করে। গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এম্পাগ্লিফ্লোজিন ব্যবহারকারীদের হৃদরোগজনিত মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম। এই প্রথম ডায়াবেটিস রোগীদের ওপর কোন গ্লুকোজ কমানোর ওষুধ ব্যবহার করে হৃদরোগে সুফল পাওয়া গেল। এর আগের অন্যান্য ওষুধে প্রকৃত পক্ষে তেমন কোন সুফল লাভ করা সম্ভব হয়নি।বিভিন্ন মহলে এই ফলাফল খুবই সাড়া জাগালেও মূল গবেষকগণ এ সম্পর্কে সতর্ক আশা প্রকাশ করেছেন এবং মনে করছেন ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের জন্য এটা একটি সুখবর হলেও, এ সম্পর্কে আরও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
      
(৫) সাইকোট্রপিক ওষুধ নরহত্যার প্রবণতা বাড়ায়
একটু অবাক হওয়ার মতোই তথ্য। এতদিন ধারণা করা হতো মানসিক রোগের জন্য সাইকোট্রপিক ওষুধ খেলে অনেকের বিপজ্জনক আচরণের সম্ভাবনা থাকে। এখন দেখা যাচ্ছে বিষণ্ণতারোধক ওষুধ, বেনজোডায়াজেপিন এবং বিভিন্ন ধরণের ব্যাথানাশক ওষুধ খেলে নরহত্যার মতো মারাত্মক প্রবণতাও দেখা দিতে পারে।বিষণ্ণতারোধক ওষুধ ব্যবহার করলে আসলেই নরহত্যার প্রবণতা বাড়ে কিনা তা দেখার জন্য সুইডিশ গবেষকগণ ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯৫৯ জন নরঘাতক দাগী আসামীর ওপর পর্যবেক্ষণ করেছেন। আর এদের সঙ্গে তুলনা করার জন্য বেঁচে নেওয়া হয়েছে প্রায় দশ হাজার সাধারণ নাগরিককে। ১৯৯৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এদের সকলের ওষুধ ব্যবহারের ইতিহাস খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বিষণ্ণতারোধক ওষুধ ব্যবহারে নরহত্যার প্রবণতা ৩১% এবং বেনজোডায়াজেপিনে ৪৫% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। সবচেয়ে আশংকার বিষয় হচ্ছে নারকোটিক এনং নন-নারকোটিক বেদনানাশক ওষুধ ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই প্রবণতা দুই  থেকে তিন গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু যে অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ নিয়ে আমাদের এত আশংকা, সেটার ব্যবহারের সঙ্গে আসলে নরহত্যার প্রবণতার জোরালো কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। সুতরাং গবেষকদের বক্তব্য হচ্ছে যাদের অপরাধ করার ইতিহাস রয়েছে তাদের চিকিৎসার সময় সাইকোট্রপিক ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।

(৬)হৃদরোগের গবেষণায় অ্যাপ ব্যবহার
স্মার্ট ফোন অ্যাপের সাহায্যে হৃদরোগের গবেষণা ছিল ২০১৫ সালের একটি নতুন বিষয়। গত মার্চ মাসে স্মার্ট ফোন অ্যাপের সাহায্যে হৃদরোগের ওপর একটি গবেষণা শুরুর ২ সপ্তাহের মধ্যে ৪০,০০০ মানুষ সেখানে অংশগ্রহণ করার জন্য নাম লেখায়। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় হৃদরোগের সুস্থতা রক্ষায় শরীরচর্চার ভূমিকা নিয়ে এই গবেষণার আয়োজন করেন। এজন্য তারা MyHeart Counts নামে একটি ফ্রি স্মার্ট ফোন অ্যাপ তৈরি করেছেন। ১৮ বছরের বেশী বয়সী যে কোন ব্যক্তি আই ফোন ৫এস, ৬ কিংবা ৬প্লাস-এর সাহায্যে এটা ডাউন লোড করে এই গবেষণায় অংশ গ্রহণ করতে পারেন।

(৭)স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং-এর নতুন নীতিমালা
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার নীতিমালা নবায়ন করেছে। আগে মহিলাদের বয়স ৪০ বছর হলে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য ম্যামোগ্রাম করার পরামর্শ দেওয়া হতো। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ৪৫ বছর বয়স হওয়ার পরে তা করতে হবে। আর বয়স ৫৫ হয়ে গেলে প্রতি ২ বছর অন্তর ম্যামোগ্রাম করলেই চলবে। দেখা যায় ৫০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী মহিলাদের স্ক্রিনিং ম্যামোগ্রাম করলে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ কমান যায়।

(৮)PCSK9 Inhibitors- উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল চিকিৎসার জন্য নতুন ওষুধ
এ বছর মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন(FDA)কোলেস্টেরল কমানোর দুটি নতুন ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। এই দুটি ওষুধের নাম- alirocumab (Praluent, Sanofi/Regeneron) এবং evolocumab (Repatha, Amgen)। এরা proprotein convertase subtilisin kexin 9 (PCSK9) inhibitors। প্রচলিত স্ট্যাটিনজাতীয় ওষুধের থেকে এদের কার্যক্রমের ভিন্নতা রয়েছে। নতুন ওষুধের সাহায্যে কোলেস্টেরল কমানো আর সহজ হবে মনে করা হচ্ছে। তবে কোলেস্টেরল কমানোর নতুন ওষুধের দাম নিয়ে অনেকেই সমালোচনামুখর।

(৯)সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের রায়ের প্রতি স্বাস্থ্য সংস্থাসমূহের জোরালো সমর্থন
মার্কিন সুপ্রীম কোর্ট গত ২৬ জুন সমলিঙ্গের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে আইনগত বৈধতা দান করেছে। ১৯৯৬ সালে মার্কিন কংগ্রেস এবং প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সম্মতিক্রমে সমলিঙ্গের বিয়ে আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ ছিল। প্রায় দুই দশক ধরে আন্দোলন করে সমকামীরা শেষ পর্যন্ত তাদের দাবী আদায়ের পথে সুপ্রীম কোর্টের সমর্থন আদায় করেছে। এতদিন আন্দোলনের মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ টি রাজ্যে কোন না কোন ভাব সমলিঙ্গের  বিয়ে বৈধ ছিল। নতুন আইনের ফলে সবকয়টি রাজ্যেই তা  বৈধতা পাবে। এর আগে দুনিয়ার আরও ২০টি দেশে সমলিঙ্গের মধ্যে বিবাহ বন্ধন আইনগত বৈধতা দান করা হয়েছে।
মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের নতুন পাশ করা আইনের ফলে এখন সমলিঙ্গের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ দম্পতিরা স্বাভাবিক নারীপুরুষের বিয়ের মতোই আইনী সুবিধা পাবে, সরকারী নথিপত্রে তাদের জন্ম-মৃত্যুর হিসেব রাখা হবে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি অর্জনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা সুপ্রীম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন, আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স এবং আমেরিকান কলেজ অব ফিজিসিয়ানস সরাসরি এই রায়ের পক্ষে বিবৃতি প্রদান করেছে।
আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে এই রায়ের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে  নাগরিকদের মধ্যে “বৈষম্য এবং অসাম্য”  দূর হবে এবং আমেরিকানদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটা ভালো হবে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স অনেক দিন যাবত সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা দানের দাবী সমর্থন করে আসছিল। তারা মনে করেন সমলিঙ্গের দম্পতিদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কোন বিজ্ঞানসম্মত কারণ নেই। আমেরিকান কলেজ অব ফিজিসিয়ানসের প্রেসিডেন্ট সুপ্রীম কোর্টের রায়কে “ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত” হিসেবে অভিনন্দন জানিয়েছেন।  আমেরিকান কলেজ অব ফিজিসিয়ানস মনে করে এই রায়ের ফলে সকল মার্কিন নাগরিকের চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হল। উল্লেখ্য আমেরিকান কলেজ অব ফিজিসিয়ানস তাদের এই বছরের বার্ষিক সম্মেলনে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল এবং ট্রান্সজেন্ডার (LGBT) রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে বৈষম্য এবং  স্টিগমা (stigma)  দূর করার জন্য অত্যন্ত জোরালো দাবী তুলেছিল।

(১০) অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু রোধে ওবামা প্রশাসন
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর ক্রম বর্ধমান সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য ২০১৫ সালের মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রথম জাতীয় পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এজন্য তিনি ২০১৬ সালের বাজেটে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছেন ।এটা একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। এই পরিকল্পনার পাঁচটি মূল লক্ষ্যঃঅ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু বৃদ্ধি রোধ করা, এজন্য সার্ভিলেন্স জোরদার করা, শনাক্ত করার পরীক্ষা উন্নত করার চেষ্টা, নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিস্কার করা এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো। মার্কিন রোগ প্রতিরোধ সংস্থার হিসেব অনুসারে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ২৩,০০০ মানুষ মারা যায়; ২০ লাখ রোগ সংক্রমণের ঘটনা ঘটে এবং এর জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ করতে হয়। 

No comments:

Post a Comment