মোবাইল ফোন কিংবা ই-মেইলের
মাধ্যমে যৌন উদ্দীপক মেসেজ বা ছবি পাঠানোকে সেক্সটিং বলে। ২০০৪ সালে প্রথম
কানাডা এবং এরপর বিভিন্ন দেশে সেক্সটিং শব্দটা ব্যবহার করা হতে থাকে। সবশেষে ২০১২ সাল
থেকে এটা ইংরেজি ডিকশনারীতেও স্থান করে নিয়েছে।এখন বিশ্ব জুড়ে সেক্সটিং বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। শুরুতে সেক্সটিং মূলত যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও কানাডার মতো দেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু জরীপে দেখা যায় ৬৪ ভাগ ব্রাজিলিয়ান সেক্সটিং করে। ভারতে শতকরা প্রায় ৫৪ ভাগেরও বেশি মানুষ সেক্সটিং করছে। উদ্বেগের বিষয় হলো সেক্সটিং কিশোর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আমেরিকায় ৩০ ভাগ কিশোর-কিশোরী নিজেদের নগ্ন ছবি ইমেইল বা মোবাইল ফোনে অন্যদের পাঠিয়ে থাকে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা সেক্সটিং বেশি করে। আবেগপ্রবণ, অরক্ষিত, নিঃসঙ্গ ও স্নেহবঞ্চিত সন্তানেরা এই ধরনের কাজে বেশী জড়িয়ে যায়। অনেকে
মনে করেন ভারতে সেক্সটিং বাড়ার কারণ যৌথ পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া, পারিবারিক মূল্যবোধের পরিবর্তন,
গভীর রাত করে পার্টি, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে বেশি সময় ধরে থাকা ইত্যাদি। সেক্সটিং কোন দেশেই কিংবা সমাজেই ভালো কাজ হিসেবে গন্য হচ্ছে না। বরং অনেক দেশেই এটা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। ইদানীং অস্ট্রেলিয়া সেক্সটিং আইন কঠোর করেছে এবং এ ব্যাপারে
সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্কুল-কলেজে প্রচারণা চলছে। বাংলাদেশে এটা কতটা
ছড়িয়েছে সে সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এ বিষয়ে আমাদেরও
সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
No comments:
Post a Comment