শরীর ও মন নিয়ে লেখালেখি

Saturday 18 June 2016

হাঁটাহাঁটির অংক


গড়পড়তা একজন মানুষ ২০০০ কদম হাঁটলে এক মাইল হাঁটা হয়। সুতরাং ১০,০০০ কদমে পাঁচ মাইল। শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় বা অলস একজন মানুষ দিনে বড়জোর ১০০০ থেকে ৩০০০ কদম হাঁটে।  

সাধারনত প্রতি মাইল হাঁটলে ১০০ ক্যালরি শক্তি খরচ হয়। কেউ যদি প্রতিদিন অতিরিক্ত তিন মাইল হাঁটে তাহলে তার ৩০০ ক্যালরি খরচ হবে। প্রতি দিন ৩০০ ক্যালরি খরচ করলে সপ্তাহে ২১০০ ক্যালরি খরচ হয়। অর্থাৎ মাসে প্রায় ৯০০০ ক্যালরি খরচ হবে। এর ফলে গড়ে আড়াই পাউন্ড ওজন কমে। এভাবে পুরো একবছর হাঁটলে তারপক্ষে ৩১ পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু শর্ত হচ্ছে অতিরক্ত হাঁটার ফলে যে ক্যালরি খরচ হবে তার জন্য খাবারের পরিমাণ বাড়ানো যাবে না।

ঘণ্টায় চার মাইল বেগে হাঁটলে অতিরিক্ত তিন মাইল হাঁটার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫ মিনিট ব্যয় করতে হবে। অতএব বলা যায় প্রতিদিন অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট করে নিয়মিত হাঁটলে এবং খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ না বাড়ালে বছরে ৩১ পাউন্ড বা ১৪ কিলোগ্রাম ওজন কমানো সম্ভব।

সমস্যা হচ্ছে আমরা বেশী হাঁটলে কিংবা পরিশ্রম করলে অতিরিক্ত খাই। ফলে আর ওজন কমানো সম্ভব হয় না। সহজ গাণিতিক সূত্র হচ্ছে পরিমিত আহার এবং প্রতিদিন অতিরক্ত তিন মাইল হাঁটলে যে কারও পক্ষে প্রয়োজন মতো ওজন কমানো সম্ভব।  


মনে রাখতে হবেঃ
  • ১ মাইল = প্রায় ২০০০ কদম হাঁটা
  • ১ মাইল হাঁটা = ১০০ ক্যালরি খরচ হওয়া
  • ১ পাউন্ড ওজন কমানোর জন্য = ৩৫০০ ক্যালরি অতিরক্ত খরচ করতে হবে
  • সপ্তাহে ২ পাউন্ড ওজন কমাতে হলে = ৭০০০ ক্যালরি খরচ করতে হবে অর্থাৎ প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫০০ ক্যালরি খরচ করতে হবে।
  • হেঁটে সপ্তাহে ১ পাউন্ড ওজন কমাতে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫ মাইল হাঁটতে হবে। এজন্য বলা হয় প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০,০০০ কদম হাঁটলে সপ্তাহে ১ পাউন্ড ওজন কমে।
  • প্রতিদিন অতিরিক্ত আড়াই মাইল বা ৫০০০ কদম হাঁটলে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫০ ক্যালরি কম খাদ্য গ্রহণ করলেও একই ফল পাওয়া সম্ভব।



এগুলি গাণিতিক হিসেব। কিন্তু মানুষ কখনও এভাবে হিসেব করে কাজ করে না; আর খাওয়াদাওয়ার সময় এত সব অংক মনেও থাকে না। অতএব যা হওয়ার তাই হয়।    

Friday 17 June 2016

হাঁটার উপকারিতা



কাউকে চিকিৎসা হিসেবে হাঁটার প্রেসক্রিপশন দিলে হয়তো তেমন মনঃপুত হবে না কিন্তু সত্যিকার অর্থে বিনে পয়সায় এর চেয়ে ভাল ওষুধ খুব কমই আছে আমরা সবাই জানি ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী এজন্য আমরা মনে করি জিমে যেয়ে অনেক ভারী ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যায়াম করতে বে কিন্তু হাঁটা একটি অতি সহজ ব্যায়াম বিনে খরচার এই ব্যায়ামের উপকারের কোন তুলনা হয় না

প্রতিদিন নিয়মিত ২১ মিনিট অর্থাৎ সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা করে হাঁটলে হৃদরোগের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কমে যায় কোন যন্ত্রপাতি ছাড়া যে কোন জায়গায় এই সহজ কাজটি করলে হৃদরোগ ছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়; রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে; আর মস্তিস্ক থাকে সতেজ এবং সক্রিয়।

হাঁটার আরও পাঁচটি উপকারিতাঃ

১) হাঁটা আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানোর জিনের কাজ কমিয়ে দেয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ ১২,০০০ মানুষের ওপর ৩২ রকমের ওজন বাড়ানোর জিন নিয়ে পরীক্ষা করেছেন। এতে দেখা গিয়েছে দৈনিক এক ঘণ্টা জোরে জোরে হাঁটলে ওজন বাড়ানোর জিনের কার্যকারিতা অর্ধেক কমে যায়।
    
২) হাঁটলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। সাধারণত যাদের মিষ্টি খাওয়ার লোভ বেশী তাদের ওজন সহজে বেড়ে যায়। কিন্তু নিয়মিত ১৫ মিনিট হাঁটলে চকলেটসহ অন্যান্য মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। যারা বেশী হাঁটেন তাদের যেকোন ধরণের মিষ্টিযুক্ত খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা কম থাকে।

৩) হাঁটলে স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। যেকোনো ধরণের ব্যায়াম স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তবে আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির সমীক্ষায় দেখা যায়, যে সকল মহিলা সপ্তাহে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা হাঁটেন তাদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম।
  
৪) হাঁটলে বাতের ব্যাথা কমে যায়। অনেকগুলি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাতের জন্য হাঁটা উপকারী। যারা সপ্তাহে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় মাইল হাঁটেন তাদের মধ্যে বাতের প্রকোপ কম। হাঁটলে আমাদের বোন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিসমূহ সুস্থ থাকে। ফলে বাতের প্রকোপ লাঘব হয়।

৫) হাঁটলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যারা নিয়মিত হাঁটেন তাদের সর্দি-গর্মি কম হয়। প্রায় ১০০০ মহিলা এবং পুরুষের ওপর দীর্ঘদিন সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট করে সপ্তাহে পাঁচদিন হাঁটেন, তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে প্রায় অর্ধেক কম।  

অতএব সুস্থতার জন্য হাঁটুন। হাঁটুন এবং সুস্থ থাকুন।


Tuesday 14 June 2016

রাণী এলিজাবেথের নবতিতম জন্মবার্ষিকী পালন


ইউনাইটেড কিংডমের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর জীবনের নব্বই বসন্ত পার করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ারও রাণী। আজ রাণীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ায় সরকারী ছুটির দিন। যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথভুক্ত সকল দেশের জনগণের নিকট নিজ গুণে রাণী একটি পরম শ্রদ্ধার আসন অর্জন করেছেন। যে উচ্ছ্বাস এবং আবেগ নিয়ে সকলে এই ছুটির দিনটি উদযাপন করে তা আসলেই মন কেড়ে নেওয়ার মত।

মজার বিষয় হচ্ছে রাণীর জন্মদিন কিন্তু দুটি। তার আসল জন্মতারিখ ২১ এপ্রিল। ওই দিনটি তিনি একান্ত পারিবারিক পরিবেশে পালন করে থাকেন।আর সরকারীভাবে আজ ১৩ জুন তার জন্মদিন পালন করা হচ্ছে । দ্বিতীয় কিং জর্জের সময় ১৭৪৮ সাল থেকে ব্রিটিশ রাজা-রাণীদের সরকারী জন্মদিন এভাবে মে কিংবা জুন মাসে পালিত হয়ে আসছে।ভাল আবহাওয়ায় সরকারী অনুষ্ঠান  পালন করার সুবিধার জন্য মে-জুন মাসের একটি দিন বেছে নেওয়া হয়।


এবারের সরকারী সামরিক কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে রাণীর উজ্জ্বল সবুজ পোশাকের  উপস্থিতি খুবই দৃষ্টি আকর্ষণীয় ছিল।

শিউলি নয়, লুকুলিয়া



কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি খুব গানের প্রথম দুটি চরণ- 

“শিউলি তলায় ভোর বেলায় কুসুম কুড়ায় পল্লী-বালা।
শেফালি পুলকে ঝরে পড়ে মুখে খোঁপাতে চিবুকে আবেশ-উতলা।।“ 

অনেকেরই খুব প্রিয় ফুল এই শিউলি ফুল বা শেফালী ফুল।সাদা রঙের ছোট ছোট ফুল। আর উজ্জ্বল কমলা রঙের বোঁটা। সনাতন ধর্মে একে স্বর্গের ফুল বলে মনে করে হয়। ধারণা করা হয় কৃষ্ণ এই ফুল স্বর্গ থেকে মর্তে এনেছিলেন। শরত আর হেমন্ত কালে রাতে এই ফুল ফোটে। সারা রাত গাছে থাকার পরে শিশিরসিক্ত সকালে গাছের নীচে ঝরে পড়ে। ছোটবেলায় অনেকেরই সেই ঝরা ফুল কুড়নোর সুখস্মৃতি রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে শিউলি আসলে বেদনার প্রতীক। গল্পটি এক রাজকন্যাকে নিয়ে। তার নাম পারিজাতিকা বা পারিজাত। তার রূপে মুগ্ধ সবাই। কিন্তু তিনি আবেশিত হয়েছিলেন সূর্য দেবের রূপে। কিন্তু তার ভালোবাসা রয়ে গেল অধরা। দুঃখ সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করলেন। রাজকন্যার দেহভস্ম থেকে জন্ম নেয় একটি গাছ। সেই গাছে ফুল ফোটে।সকাল বেলায় যেন সুর্যের মুখ দেখতে না হয়, তার জন্য সারারাত গাছে ফুল থাকার পর সকাল হবার আগেই ঝরে পরে গাছ থেকে। সেটাই আমাদের পরিচিত শিউলি ফুল বা শেফালী ফুল। রাজকন্যার নামে রাখা ফুলের নাম পারিজাত বা পারিজাতিকা। কাজী নজরুল কিন্তু আরেকটি গানে সেই শিউলি বিছানো পথে আসার খুবই কাব্যিক আহবান জানিয়েছেন- 

“এসো শারদ প্রাতের পথিক এসো শিউলি বিছানো পথে।
এসো ধুইয়া চরণ শিশিরে এসো অরুণ-কিরণ-রথে।।
দলি, শাপলা শালুক শতদল এসো রাঙায়ে তোমার পদতল
নীল লাবনি ঝরায়ে চলচল এসো অরণ্য পর্বতে।।”

আমি কবি নই। তাই সেভাবে এর সৌন্দর্য বর্ণনা করতে পারছি না। দক্ষিণ গোলার্ধে অস্ট্রেলিয়ায় এখন কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে শীত এসেছে। শিশির ভেজা সকালে সেদিন ড্যান্ডেনং পাহাড়ে গিয়েছিলাম। সকালে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি, আর ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির রূপালি কনা। অকস্মাৎ চোখে পড়লো একটি গাছের নীচে শিউলি ফুলের মতোই অসংখ্য ফুল ঝরে পড়েছে। ঠিক সাদা নয়; ঈষৎ গোলাপি রঙের ফুল, শিউলির মতোই; কিন্তু শিউলি না। এর নাম লুকুলিয়া (luculia)।
এরাও সাধারনত শরৎকাল এবং শীতকালে ফোটে।আবাস নেপালের হিমালয় পার্বত্য এলাকায়। ভুটান এবং দক্ষিণ চীনেও দেখতে পাওয়া যায়। জানিনা কেউ একজন হয়তো শখ করে নেপাল থেকে এনে ড্যান্ডেনং পাহাড়ের ওপরে লুকুলিয়া ফুলের গাছ লাগিয়েছিল। আর এই শীতের শিশির ভেজা বৃষ্টি স্নাত সকালে সেই ফুল ঝরে পড়ে শিউলির মতই গাছের নীচে চাদর বিছিয়ে রেখেছে।   

Sunday 12 June 2016

যারা বেশী পর্ণ ছবি দেখে, পরবর্তীতে তারা বেশী ধার্মিক হয় !!


বলা হয় যে প্রত্যেক সাধুর অতীত রয়েছে এবং প্রত্যেক পাপীর ভবিষৎ রয়েছে।কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও যে এমন প্রমাণ পাওয়া যাবে সেটা একটু অবাক হওয়ার মতো বিষয়। সম্প্রতি পর্ণছবি নিয়ে একটি আকর্ষণীয় গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সব মিলিয়ে যত দর্শক নেটফ্লিক্স, আমাজন এবং টুইটারে প্রতিদিন ভিড় করে, তারচেয়ে অনেক অনেক বেশী দর্শক প্রতিদিন ইন্টারনেটে পর্ণসাইটগুলোতে ভিড় করে। এক্স-রেটেড ভিডিও কেউ প্রকাশ্যে দেখে না, এমন কি এসম্পর্কে তেমন আলাপ-আলোচনাও শোনা যায় না। কিন্তু “জার্নাল অব সেক্স রিসার্চে” প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যারা বেশী বেশী পর্ণ ছবি দেখে, তারা পরবর্তীতে অতিরিক্ত ধার্মিক হয়ে থাকে।
   
বিগত কয়েক দশকে পর্ণছবি দেখার হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। পর্ণছবি নিয়ে বিভিন্নধরণের গবেষণাও প্রচুর হচ্ছে। আগে মনে করা হতো যারা বেশী ধার্মিক তারা কম পর্ণছবি দেখে। সত্যিকার অর্থে কোন ধর্মেই এধরণের ছবি দেখা অনুমোদিত নয়। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে যারা বেশী পর্ণছবি দেখে, তারাই পরবর্তীতে বেশী ধর্মপরায়ণ হয়ে যায়।

ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা কর্মে ১৩১৪ জন পর্ণ দর্শককে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়েছে। এই সময়ে তাদের পর্ণছবি দেখার হার এবং ধর্মপরায়ণতা লক্ষ্য করা হয়েছে। তাদের বয়স, জেন্ডার এবং আরও অনেক বিষয় বিবেচনা করার পরেও দেখা যাচ্ছে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধার্মিক হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।গবেষকগণ যা আশা করেছিলেন এ ফলাফল একেবারেই তার উলটো।  কিন্তু পর্ণ ছবি দেখলে কেন ধর্ম পালনের প্রতি আগ্রহ বাড়ে, তার কোন ব্যাখ্যা গবেষকগণ দিতে পারেননি। অনেকে মনে করছেন পর্ণছবি দেখার ফলে মানুষের মনে একধরণের পাপবোধ জাগে। প্রথম দিকে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের প্রতি আগ্রহ না থাকলেও পরবর্তীতে তারা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে এই পাপবোধ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চায়।
  
একসময়ের কানাডার পর্ণ-তারকা সানি লিওন ভারতের বলিউডের মূলধারায় আসার পরেও বৃহত্তর সমাজে নিজের গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে এখন পর্যন্ত সংগ্রাম করে চলেছেন। উল্লেখ্য শতকরা ৪৭ জন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পর্ণছবি দেখাকে তাদের সংসারে একটি বড় ধরণের সমস্যা বলে গণ্য করেন। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীসহ মুসলমানদের মধ্যেও পর্ণছবি দেখা গ্রহণযোগ্য নয়।  


তথ্যসূত্রঃ Perry SL. Does Viewing Pornography Diminish Religiosity Over Time? Evidence from Two-Wave Panel Data. Journal of Sex Research. 2016:1-13.

Saturday 11 June 2016

মাইগ্রেন মেয়েদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়



ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন মাইগ্রেন সাধারণ মাথাব্যাথা নয়। বিভিন্ন হিসেবে দেখা যায় প্রতি দশজনে অন্তত একজন মাইগ্রেনের ব্যাথায় ভুগে থাকেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। বলাবাহুল্য মাইগ্রেনের অভিজ্ঞতা  অত্যন্ত কষ্টদায়ক। মাইগ্রেনের রোগীদের শতকরা ৯০ জন সময় বিশেষে এর কারণে স্কুল-কলেজ কিংবা কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য হন।

একটি নতুন গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মাইগ্রেন মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয় এরফলে তুলনামুলকভাবে মৃত্যুহারও বেড়ে যায়। মার্কিন এবং জার্মান গবেষকগণ নার্সেস হেলথ স্টাডিঃ ২-এ অংশগ্রহণকারী ১১৫,০০০ মহিলার ওপর পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য দিয়েছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এদের ওপর পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বয়স, জেন্ডার, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি, হরমোন থেরাপি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় রাখার পরেও দেখা যাচ্ছে মাইগ্রেনের ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং মৃত্যুহার বেশী থাকে।
   
এজন্য অনেকে মনে করছেন মাইগ্রেন সম্পর্কে আমাদের আবার নতুন করে ভাবতে হবে।

মাইগ্রেনের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক অবশ্য নতুন বিষয় নয়। এর আগেও মাইগ্রেনের ফলে স্ট্রোক হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। অনেক নীরব স্ট্রোকেরকারণ আসলে মাইগ্রেন। তবে মাইগ্রেনের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং মৃত্যুহার বেশী হওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম সামনে আসলো।  
 

তথ্যসূত্রঃ Kurth T, Winter AC, Eliassen AH, Dushkes R, Mukamal KJ, Rimm EB, et al. Migraine and risk of cardiovascular disease in women: prospective cohort study. BMJ. 2016; 353:i2610.

Thursday 9 June 2016

মেয়েদের মেদভুঁড়ি বাড়ছে।


বয়স বাড়লে পুরুষ কিংবা মহিলা যে কারও ওজনও বাড়ে কিন্তু মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নতুন হিসেব প্রকাশ করে বলছে যে, মেয়েদের মেদভুঁড়ি আগের চেয়ে বেশী বেড়েছে ২০০৫ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে মহিলাদের মোটা হওয়ার হার পুরুষদের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে বর্তমানে ৪০ শতাংশ মহিলা স্থূলকায় আর পুরুষদের মধ্যে হার ৩৫ শতাংশ সম্প্রতি জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে

এর আগে ১৯৮০ সালের তুলনায় ২০০০ সালে সকলের ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছিল ওই সময়ে প্রতি তিনজনে একজন মোটা বা স্থূলকায় ছিলেন এর ফলে মেদভুঁড়ি আমেরিকার একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়।এবার দেখা যাচ্ছে মেয়েরা এক্ষেত্রে আরেক ধাপ বেশী এগিয়েছে।
   
মেদভুঁড়ি সামাল দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চললেও, খুব বেশী উপকার হচ্ছে বলে মনে হয় না। মূলত ফাস্টফুড বেশী খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম না করে অলস জীবন যাপন করা এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার মেদভুঁড়ির মহামারী সৃষ্টি করার জন্য দায়ী।  




Sunday 5 June 2016

ডায়াবেটিস এবং রোজা-প্র্যাকটিকাল গাইডলাইন





দুনিয়াজুড়ে ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ বাড়ছে। স্বভাবতই এখন চিকিৎসকদের দিনে দিনে আরও অধিক সংখ্যক মুসলমান ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা এখন যেকোন সময়ের চেয়ে আধুনিক এবং জটিল। রমজানের সময় যে সকল ডায়াবেটিক রোগী রোজা রাখেন তাদের চিকিৎসার জন্য এতদিন কোন আন্তর্জাতিক গাইড লাইন ছিলনা। কিন্তু ডায়াবেটিস চিকিৎসার আধুনিকায়ন এবং নতুন নতুন অনেক ওষুধ আসার ফলে এসম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট গাইড লাইনের প্রয়োজনীয়তা সকলেই অনুভব করছিলেন। 
সমস্যা হচ্ছে নতুন ওষুধগুলি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাল; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোজাদারদের ওপরে এগুলি প্রয়োগ করে বাস্তব ফলাফল পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয়নি। এজন্য এসব ক্ষেত্রে প্রমানভিত্তিক ওষুধের পরিবর্তে বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই পরামর্শের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায়।
এই সমস্যা দূর করার জন্য “ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশন(IDF)” এবং “ডায়াবেটিস এন্ড রমজান ইন্টারন্যাশনাল অ্যালায়েন্স(DAR)” গত এপ্রিল মাসে চিকিৎসকদের জন্য একটি বিস্তারিত বাস্তব ভিত্তিক গাইডলাইন প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখা সম্পর্কে পর্যন্ত যত দিক নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে বর্তমান গাইডলাইন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে আধুনিক এবং নির্ভরযোগ্য বর্তমান গাইডলাইন প্রণয়নে বিভিন্ন দেশের ৩২ জন বিশেষজ্ঞ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন আর একাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন  আরব আমিরাতের দুবাই হাসপাতালের বিশিষ্ট এন্ডোক্রিনোলজিস্ট এবং ডায়াবেটিস এন্ড রমজান ইন্টারন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের” সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ হাসনাইন গাইডলাইনের শেষে মিসরের মুফতি প্রফেসর শায়খ ইব্রাহিম আলমের ধর্মীয় অনুমোদনপত্রও সংযুক্ত করা হয়েছে এর সাহায্যে দুনিয়ার যেকোন স্থানে কার্যরত  চিকিৎসকগণ এখন রোজাদার ডায়াবেটিক রোগীদের রোগ এবং ধর্মীয় দৃষ্টিতে কি করণীয় সেসব সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মানের পরামর্শ দিতে পারবেন।
রোজা শুরু হওয়ার আগে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যাওয়া বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া সম্পর্কে শিক্ষা দিলে রোজা রাখার সময় এটা ঘটার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কিন্তু সবদেশে এরকম প্রাক-রমজান শিক্ষাদানের ব্যবস্থা নেই।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য যেকোনো ওষুধ ব্যবহার করলেই কিছু না কিছু হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশংকা থাকে। কিন্তু কোন ওষুধে কার এমন ঘটবে সেসম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রে আগে থেকে কিছু বলা সহজ নয়। এজন্য রোজা রাখাকালীন প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ওষুধের মাত্রা এবং ওষুধ গ্রহণের সময় সম্পর্কে রোগী এবং চিকিৎসক উভয়ের সঠিক ধারণা থাকা জরুরী।
ডায়াবেটিক রোজাদারদের জন্য নতুন গাইডলাইন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে এর সম্পর্কে সকল চিকিৎসক, মুসলিম ধর্মীয়গুরু এবং সার্বিকভাবে জনগণকে সচেতন হতে হবে। আশা করা হচ্ছে সঠিক শিক্ষা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই গাইডলাইনের সাহায্যে ডায়াবেটিক রোজাদারদের এখন থেকে ডায়াবেটিসের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। 

Saturday 4 June 2016

নতুন মায়েদের ফেসবুক ব্যবহার



ইদানীং দেখা যায় নতুন মা হওয়ার পরে তারা একের পর এক সদ্যজাত শিশুর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে থাকেন। অবশ্যই শিশুদের ছবি খুব সুন্দর। কিন্তু প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে শিশুর নানারকম ছবি পোস্ট করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? বন্ধু-বান্ধবেরা যাই ভাবুক না কেন নতুন হওয়া মা-বাবার জন্য তাদের শিশুর এসকল ছবি ভবিষ্যতের জন্য বিশেষ স্মৃতি হয়ে থাকবে। ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ এর ভিতরে খুঁজে পেয়েছেন নতুন মায়েদের মানসিক পরিস্থিতির চিত্র।
   
তারা মূলত উচ্চশিক্ষিত বিবাহিত কর্মজীবি মায়েদের ওপরে গবেষণা করেছেন দেখা গিয়েছে এ ধরণের নতুন মায়েরা শিশুর জন্মের পর যত্নশীল আদর্শ মা হওয়ার এক ধরণের সামাজিক চাপ অনুভব করেন। এজন্য শিশুর অসংখ্য ছবি পোস্ট করে তারা সেই স্বীকৃতি অর্জন করার চেষ্টা করেন। তারা ছবির নীচে বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের প্রতিটি মন্তব্যের বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকেন এবং অনেক সময় অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে থাকেন। এ রকম একজন মা শিশুর ছবি পোস্ট করে যদি পরিচিতদের নিকট থেকে আশানুরূপ ইতিবাচক মন্তব্য না পান, তাহলে তারা বিষণ্ণতায় ভুগেন। গবেষকদের বক্তব্য হচ্ছে যে মায়েরা তাদের শিশুদের বিভিন্ন ধরণের ছবি বেশী পোস্ট করেন তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার প্রকোপ আসলে বেশী।
ওহিওর এই পর্যবেক্ষণে ১২৭ জন নতুন হওয়া মা অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের সকলেরই আন্তরিক ইচ্ছে ছিল ভাল মা হওয়া। পোস্ট করা ছবির মাধ্যমে তারা সেটাই প্রকাশ করতে চেয়েছেন। পর্যবেক্ষকগণ শিশুর জন্মের পর থেকে নয় মাস পর্যন্ত মায়েদের ফেসবুকের কার্যক্রম লক্ষ্য করেছেন। শতকরা ৯৮ জন মা জন্মের পর তাদের শিশুদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। জন্মের পরেই ছবি পোস্ট করার হার সবচেয়ে বেশী। নয় মাস পরে তা অনেক কমে এসেছে। যে সকল মা শিশুর ছবি তাদের প্রোফাইল পিকচার হিসেবে রেখেছেন তারা আসলে তাদের শিশুকে নিজের সমস্ত কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে  উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। গবেষকদের বিশ্লেষণ হচ্ছে এর মাধ্যমে একজন মা আসলে শিশুটির মাঝে তার নিজের আইডেন্টিটি খুঁজে ফিরছেন। এধরণের ছবি পোস্ট করার পরে পরিচিতদের নিকট থেকে ইতিবাচক মন্তব্য না পেলে তারা অধিকতর বিষণ্ণতাবোধে আক্রান্ত হয়েছেন।
কিন্তু কর্মজীবী মায়েদের কি এমন আইডেন্টিটি খুঁজে ফেরার প্রয়োজন আছে? কর্মজীবনের আরও অনেক কিছুই তো তাদের আইডেন্টিটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যথেষ্ট। এজন্য নতুন মায়েদের ফেসবুক ব্যবহার এই দিকটি গবেষকদের জন্য বিশেষ কৌতুহল জাগিয়েছে। তারা মনে করছেন এবিষয়ে আরও অনেক বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। যাহোক গবেষকগণ মনে করছেন নতুন মায়েদের ফেসবুকে শিশুদের কর্মকাণ্ড এবং ছবি পোস্ট করা ভাল; কিন্তু এর মাধ্যমে সবসময় মানসিক তৃপ্তি খোঁজার চেষ্টা করা একটু ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়।    

তথ্যসূত্রঃ Schoppe-Sullivan SJ, Yavorsky JE, Bartholomew MK, Sullivan JM, Lee MA, Dush CMK, et al. Doing Gender Online: New Mothers’ Psychological Characteristics, Facebook Use, and Depressive Symptoms. Sex Roles. 2016:1-14.


Friday 3 June 2016

ষোল রকম ক্যানসার প্রতিরোধের একটিই উপায়


অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে একটি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়। এটা “ষোল ক্যানসার প্রতিরোধ আন্দোলন”-এর অংশ। জনগণকে ধূমপান থেকে দূরে রাখার সরকারী প্রচেষ্টা খুবই চোখে পড়ার মতো। অস্ট্রেলিয়ার পথেঘাটে যত সহজে মদ কিনতে পাওয়া যায়, সিগারেট কেনা ততটাই দুরুহ। সিগারেটের ওপর এতই বেশী করারোপ হয়েছে যে ধূমপান রীতিমতো ধনীদের বিলাসিতার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে সিগারেটের বিরুদ্ধে কেন এত কঠোর অবস্থান? কারণ অস্ট্রেলিয়ার জনগণের চিকিৎসাসেবার বা মেডিকেয়ারের টাকার বিশাল অংশ সরকারকেই দিতে হয়। আর তার বিপুল অংশ যায় ক্যানসার চিকিৎসার পিছনে। কাজেই ক্যানসার প্রতিরোধ করা মানেই মেডিকেয়ারের খরচ কমানো। ধূমপান যে অনেক রকম ক্যানসারের কারণ, তা তো এখন আর নতুন করে প্রমাণ করার দরকার নেই। অতএব সরকারী দল এবং বিরোধী দল নির্বিশেষে ধূমপানের বিরুদ্ধে সকলে একজোট। 

সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭০০০ রকমের রাসায়নিক উপাদান থাকে। এদের মধ্যে অন্তত ৭০ টি উপাদান কার্সিনোজেনিক” বা ক্যানসার সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ধূমপান করা মানেই এসকল উপাদান শরীরে প্রবেশ করে এবং কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তা শরীরের কোষের স্বভাব বদলে দেয় এবং তা ক্যানসারে রূপ নেয়। ধূমপানের নিরাপদ মাত্রা বলে কিছু নেই। চিকিৎসা  বিজ্ঞানে  অন্তত ১৬ রকমের ক্যানসারের সঙ্গে ধূমপানের সম্পর্ক নিশ্চিত বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই ১৬ রকম ক্যানসারের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসার থেকে শুরু করে রয়েছে লিভারঅন্ত্রকিডনিজরায়ু এবং ওভারির ক্যানসার। ষোল রকম ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর উপায় কিন্তু মাত্র এক রকমআর তাহলো ধূমপান পরিত্যাগ করা। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ছয় ঘণ্টা পর থেকে বাড়তি ঝুঁকি কমতে শুরু করে এবং যতই দিন যায় ততই স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে থাকে।


আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যয়ের বড় অংশই জনগণ নিজের পকেট থেকে খরচ করে। নিজের পকেটের টাকা দিয়ে ধূমপান করবো; ক্যানসার হলে আমার পকেটের টাকা দিয়ে চিকিৎসা করবো। এখানে বাধা দেওয়া কেন? এই যদি হয় সকলের মনোভাব, তাহলে অবশ্য বলার কিছু নেই। অন্যথায় ধূমপানের পক্ষে ওকালতি করার আসলে তেমন কোন যুক্তি দেখা যায় না।