শরীর ও মন নিয়ে লেখালেখি

Sunday 23 February 2014

সিজারিয়ান অপারেশনের নতুন নীতিমালা

সিজারিয়ান অপারেশনের বিপক্ষে মতামত দিন দিন জোরালো হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। সম্প্রতি ধাত্রী ও স্ত্রী রোগ বিদ্যা বিষয়ক আমেরিকান কলেজ (ACOG) এ বিষয়ে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে। সেখানে অযথা কিংবা প্রয়োজন না থাকলে সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান জন্ম দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রক্রিয়াটি আসলে আমরা এতদিন যত দ্রুত হয় বলে মনে করে এসেছি, সেটা তারচেয়ে শ্লথ গতিতেও হতে পারে। এ জন্য তাড়াহুড়ো করে সিজারিয়ান অপারেশন করা কতটুকু দরকারী তা নিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। কারণ প্রথম সন্তান জন্মদানের সময় সিজারিয়ান অপারেশন করা হলে, পরবর্তী সন্তান জন্মদানের সময়ও সাধারনত সিজারিয়ান করা লাগে। প্রথম সিজারিয়ান এড়ানো গেলে পরবর্তী সিজারিয়ান অপারেশনও এড়ানো সম্ভব হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১১ সালে প্রতি তিনজনের মধ্যে দুইজন গর্ভবতী মায়ের সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান জন্ম দেওয়া হয়েছে। অনেকেই এটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না। এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে ১৯৯৬ সালের তুলনায় সিজারিয়ান অপারেশনের হার ৬০ শতাংশ বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে শিশু এবং মায়ের জীবন রক্ষা করার জন্য সিজারিয়ান অপারেশন করা জরুরী হয়ে পড়ে; কিন্তু ইতোমধ্যে মহিলাদের এমন কি পরিবর্তন ঘটেছে যে তাদের এমন ব্যাপকভাবে সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে? নীতি নির্ধারকগণ অতিরিক্ত সিজারিয়ান অপারেশন করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতির অপব্যবহার হিসেবে গণ্য করছেন। তাছাড়া সিজারিয়ান অপারেশন করলে এরও কিছু স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী ঝুঁকি এবং প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অপারেশনের নিজস্ব ঝুঁকি ছাড়াও শিশু এবং মায়ের ওপরে এর পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেক গবেষক এখন শঙ্কিত।  এজন্য সাম্প্রতিক নীতিমালায় স্ত্রী রোগ ও ধাত্রী বিশেষজ্ঞদের জন্য কতগুলি নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ Obstetric Care Consensus No. 1: Safe Prevention of the Primary Cesarean Delivery. Obstetrics & Gynecology. 123(3):693-711, March 2014.

No comments:

Post a Comment