আমাদের সকলের দধিপ্রীতি পুরনো । দই খুব ভাল খাবার যদি খাঁটি দুধকে গাজিয়ে
(ফারমেন্টেড) দই করা হয়। কিন্তু বাজারে যেসব দই পাওয়া যায়, তা কতটুকু
খাওয়ার উপযোগী গবেষণাগারে নিয়ে দেখা দরকার। বেশিরভাগই অখাদ্য, নয় কুখাদ্য। দই
তৈরীতে আটা, ময়দা, বাটারওয়েল, টিস্যু
পেপার, রং, সেন্ট, কলা, কতকিছু
যে মিশায়। হয়তো কখনও মান
নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও হবে।
তবে আপাতত অপেক্ষা না করে আমরা স্বনির্ভর হতে পারি। কারণ দই বানানো খুবই সহজ এবং মজাদার কাজ। দোকানের দই না খেয়ে বাড়ীতে নিজে দই বানিয়ে
খাওয়ার আনন্দই আলাদা। এজন্য সহজ দুটো দইয়ের রেসিপিঃ
১। সাধারণ সাদা
টক দই
বাসায় সাদা টক
দই বানানো খুবই সহজ। এরজন্য
প্রয়োজন এক
লিটার গরুর দুধ (ছাগী, মহিষ কিংবা উটের দুধও ব্যবহার করা যায়। এছাড়া সয়া দুধ কিংবা
নারকেলের দুধ দিয়েও দই বানানো যায়) এবং দইয়ের সাঁজ দুই
টেবিল চামচ। প্রথমে দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিতে হবে। এক লিটার দুধ
আধা লিটার পরিমাণ ঘন হয়ে এলে নামিয়ে গরম দুধ ভালো করে ফেটে নিতে হবে। ফেনা উঠে গেলে দইয়ের সাঁজ গলিয়ে কুসুম গরম ফেটানো
দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। দই বসানোর পাত্রটি
ঢাকনা দিয়ে গরম জায়গায় রাখতে হবে। কোনরকম নাড়াচাড়া
না করে পাত্রটি পাঁচ-ছয় ঘণ্টা রেখে দিলে দই জমে যাবে।
২।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনে বানানো টক দই
আমরা সবাই
ব্যস্ত থাকি। তাই ঘটা করে দুধ জ্বাল দিয়ে দই বানানো আমাদের হয়ে ওঠে না। কিন্তু বাসায় সহজে খুব অল্প পরিশ্রমে মাইক্রোওয়েভ
ওভেনে সাদা টক দই বানানো যায়। এর জন্য দুধ ১ লিটার দুধ আর ২ টেবিল চামচ দইয়ের বীজ (আগের দই) বা সাঁজ লাগবে।
সবচেয়ে ভালো
হয় রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটি বড় কাঁচের বাটি কিংবা পাত্রে দুধ নিয়ে মাইক্রোওয়েভ
ওভেনে ৮ মিনিট গরম করতে হবে। সাধারণত এই সময়ের মধ্যেই দুধের বলক উঠে যায়। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে আরও দুই মিনিট
গরম করতে হবে। বাটি কিংবা কাঁচের পাত্রটি এমন আকারের হতে হবে যেন দুধ উথলে উঠলে
উপচে পড়ে না যায়। এরপর দুধ একটু শীতল হয়ে আসলে দইয়ের বীজ বা পুরনো দই দুধের মধ্যে ঢেলে মিশিয়ে দিতে হবে। পাত্রটিকে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভিতরেই একটি ছোট তোয়ালে দিয়ে ঢেকে সারা রাত রেখে
দিতে হবে।পরদিন মাইক্রওয়েভ ওভেনে সকালের নাস্তা তৈরি করার আগেই পাওয়া যাবে নিজের
বানানো সাদা টক দই। কেউ মিষ্টি দই খেতে চাইলে দুধ ফোটানোর আগেই প্রয়োজনমতো চিনি
কিংবা গুড় মিশিয়ে নিতে হবে।
তবে নিঃসন্দেহে
টক দই বেশী স্বাস্থ্যকর। নিজে দই বানান, নিজে খান এবং অন্যকেও খেতে দিন।
No comments:
Post a Comment