সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মাঝবয়সে চাকরী ক্ষেত্রে যারা অতিরিক্ত মানসিক ও
শারীরিক চাপের মুখোমুখি হয়েছিলেন, শেষ বয়সে তারা নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছেন।
কর্মক্ষেত্রের চাপ শুধুমাত্র ভুক্তভোগী ব্যক্তিই
অনুভব করতে পারেন। একই রকম চাকরী করলেও এক একজন ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার উদ্বেগ অনুভব
করতে পারেন। মাঝে-মধ্যে কাজের চাপ থাকা মন্দ নয়। কিন্তু কেউ যদি ক্রমাগত দিনের পর
দিন কর্মক্ষেত্রে চাপের মুখে থাকে এবং তার
গ্রহণযোগ্য সমাধান না হয় তাহলে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি এ সম্পর্কে ফিনল্যান্ডের ৫০০০ সরকারী
কর্মজীবীর ওপর গবেষণা করে এ রকম সিদ্ধান্ত দিয়েছেন গবেষকগণ। তারা ১৯৮১ সাল থেকে এই
৫০০০ লোকের ওপর পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। এদের প্রত্যেকের কর্মক্ষেত্রের চাপ সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তী ২৮ বছর ধরে তাদের স্বাস্থ্য
সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যারা চাপমুক্ত আনন্দময় পরিবেশে
কাজ করতে পেরেছেন তাদের ডাক্তার কিংবা হাসপাতালে খুব বেশী যেতে হয়নি। কিন্তু যাদের
কর্ম পরিবেশ অনুকুল ছিল না তাদের ঘন ঘন অসুখ-বিসুখ হয়েছে কিংবা হাসপাতালে থাকতে
হয়েছে। বয়স ৬৫ অতিক্রম করার পরে এই পার্থক্য আরও প্রকটভাবে ধরা পড়েছে। এক্ষেত্রে
নারী পুরুষের মধ্যে পার্থক্য সামান্যই। তবে মানসিক চাপের ক্ষেত্রে পুরুষদের ওপর
বেশী প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।
সমালোচকগণ এখন এই গবেষণার ফল নিয়ে নানামুখী
বিশ্লেষণ করছেন। ফিনল্যান্ড একটি উন্নত দেশ এবং তাদের সরকারী চাকরীর পরিবেশ
অত্যন্ত উন্নত বলে মনে করা হয়। অনেকেই এ জন্য উন্নয়নশীল দেশের কর্মক্ষেত্রে কি
ঘটছে তা জানার আগ্রহ বোধ করছেন।
No comments:
Post a Comment