নিয়মিত ওষুধ সেবন না করা এখন রীতিমতো
নতুন এক রোগে পরিণত হয়েছে। চিকিৎসকগণ এজন্য খুবই হতাশ । দেখা যাচ্ছে ক্রনিক রোগ
ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করেন না কিংবা উপদেশ মেনে চলেন না। এরফলে
স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এক নতুন ধরণের সংকটের মুখোমুখী হয়েছে।
·
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় চারশো কোটি প্রেসক্রিপশন লেখা হয়। এর মধ্যে অর্ধেক প্রেসক্রিপশনের ওষুধ পুরো
ব্যবহার করা হয় না কিংবা একেবারেই ব্যবহার করা হয় না।
·
কয়েক বছর আগে
১০০০ রোগীর ওপর জরীপ করে দেখা গিয়েছে প্রতি চার জনের মধ্যে তিন জন প্রেসক্রিপশনের
পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করেন না।
·
আরেক
পর্যবেক্ষণে দেখা যায় বাণিজ্যিক বীমা করা ৭৫,০০০ রোগীর মধ্যে
প্রতি দশজনে তিন জন নতুন প্রেসক্রিপশনের ওষুধ কিনেন না। এমন কি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস
এবং কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও ২০ থেকে ২২ শতাংশ ক্ষেত্রে কেনা হয়নি।
·
ক্রনিক রোগে
আক্রান্তরা প্রেসক্রিপশন অনুসারে ওষুধ কিনলেও অর্ধেক ওষুধই তারা পরামর্শ মতো গ্রহণ
করেন না।
·
সঠিক নিয়ম মতো
ওষুধ সেবন না করার কারণে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া নিয়ে আবার অনেককে হাসপাতালে ভর্তি
হতে হয়। বিভিন্ন নার্সিং হোমে ভর্তি হওয়া রোগীদের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে দুই জন
আসলে নিয়মিত ওষুধ সেবন না করার কারণে সৃষ্ট জটিলতার জন্য ভর্তি হতে বাধ্য হয়ে
থাকেন।
·
নিয়মিত ওষুধ
সেবন না করার কারণে তুলনামূলকভাবে উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত
কোলেস্টেরল এবং হৃদরোগীদের মৃত্যু হার দুই থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়।
·
এমন কি হার্ট
অ্যাটাকের রোগীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে ওষুধ শুরু করার দুই বছরের মধ্যে চিকিৎসকের
পরামর্শ ছাড়াই অর্ধেকের বেশী রোগী নিয়মিত ওষুধ সেবন করা ছেড়ে দিয়েছেন।
পরামর্শমতো ওষুধ সেবন না করা এক জটিল
সমস্যা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ এই বিপজ্জনক এবং ব্যয়বহুল প্রবণতার সমাধান কি হবে,
তা নিয়ে আসলেই এক গোলক ধাঁধার মধ্যে রয়েছেন।
No comments:
Post a Comment